ছোটো বেলা থেকেই এক জায়গায় স্থির না থাকাটা ছিল তার স্বভাব। নতুন কিছু খোজা, সব কিছুর পেছনের কারনটা জানা ছিল তার নেশা। অনেক কিছু বোঝেও না বোঝার অভিনয় করতো সে আবার না বোঝেও বোঝার অভিনয়ে ছিল যথেষ্ট পারদর্শী।
– এই ! তুমি কোথায়?
– মমম্…. ঘুমাচ্ছি! কে বলছেন?
– আরে আমি? আজব তো। আজ না ৮ টায় ক্লাস।
(Screen এর দিকে তাকিয়ে)
– ক্লাস করবো না। Bye!
– Please! আসো। আমি একা তো।
– তো আমি কি করবো! তুমি তোমার ওই বন্ধুর সাথে ক্লাস করো।
(ফোনটা কেটে দিয়ে আবার ঘুম)
কিছুক্ষন পর……. ‘মা’
আর কতো ঘুমাবি! ক্লাসে যাবি না?
– না।
– কেন কি হয়েছে?
– কিছু না। ভালো লাগতেছে না; আজ ক্লাস করবো না।
– তোর বাবা জানলে রাগ করবে! ওঠ্ ক্লাসে যা।
– যেতে ইচ্ছে করছে না।
– মায়া’ ফোন দিয়েছিল!
– হমম্
– আবার কি নিয়ে……… হমমম্।
– কিছু না।
– আমাকে বল!
– সাগর নাকি ওর Best Friend! তাহলে আমি কি?
(মা মুচকি হাসি দিয়ে)
– মেয়েটাকে তো একবারও আমাদের বাসায় আনলি না! ওঠ না! ক্লাসে যা বাবা। কিছুদিন পর পরীক্ষা।
– মা……!!! দেখো ভাইয়া আমার নুডুলস খেয়ে ফেলছে।
– এই দিপু……..তুই এত জালাস কেন!!!!!
মা! মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন।
কোন রকম ব্যাগটা গুছিয়ে ক্লাসের জন্য রওনা দিল। অনেক দিন পর চোখে মুখে এক রাশ বিষন্নতা নিয়ে একা একা ক্লাসে যাচ্ছে সে।